৯৯ বছরের আক্ষেপ ঘুচল
দেশটির ফুটবল ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখবেন সাফল্যের শো-কেসটি একেবারে খালি। একটিও চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি নেই। লাতিন আমেরিকার দেশ বলে ফুটবলের প্রতি আজন্ম মায়া দেশটির মানুষের। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ের মত চিলির মায়েরা-বাবারা অধিকাংশই চান, ছেলে ফুটবলার হোক। কিন্তু এই দেশটিই কি না ভুগছে একটি চিরন্তন আক্ষেপে- কোন চ্যাম্পিয়নশিপ নেই।
১৯৬২ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক হয়ে তৃতীয়স্থান অর্জণ করেছিল তারা। এটাই ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য তাদের। মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকায় অবশ্য আরেক ধাপ এগুনো। চারবার ফাইনালে উঠেও শিরোপাটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি চিলির। সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছিল ১৯৮৭ সালে। এরপর তাদের সর্বোচ্চ দৌড় কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত।
কিন্তু এবারের চিলির রূপটাই যেন অন্যরকম। গত বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। যে কারণে ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দিকে হলেও তাকে নিয়ে গেলো বার্সেলোনা। সাথে আলেক্সিজ সানচেজ, আরতুরো ভিদাল, জর্জ ভালদিবিয়া, ভারগাসদের মত ফুটবলাররা রয়েছেন এই দলে। যেমন গতি, তেমনি স্কিল। তরুন-প্রতিভাবান ফুটবলারের দারুন সমন্বয়।
তারওপর নিজেদের মাঠে খেলা। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তাই সপ্রতিভ চিলি। প্রতিপক্ষগুলোকে যেভাবে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে এসেছে, তাতে তাদেরকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবতে পারেনি আর্জেন্টিনাও। আর ফাইনালে তো নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটসহ মোট ১২০ মিনিট খেলা হয়েছে। কিন্তু চিলিকে টলানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার নামক ভাগ্যের খেলা। যেখানে হেরে গেল আর্জেন্টিনা। আর ইতিহাসে প্রথম বারেরমত বড় কোনো শিরোপা, কোপা আমেরিকা জিতে নিল চিলি।
কোপার ইতিহাসে ৯৯ বছর পার হচ্ছে। অথচ, এখনও পর্যন্ত শিরোপার স্বাদ পায়নি। অবশেষে পেলো। নিজেদের মাটিতে আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোপা আমেরিকার নতুন চ্যাম্পিয়ন হলো চিলি।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন