মিসবাহর আফসোস
পৌঁছে গেছেন ক্যারিয়ার সায়াহ্নে। বয়স পার হয়েছে ৪১ বছর। ২০১০ সালে পাকিস্তান টেস্ট দলের নেতৃত্ব হাতে নেওয়ার পর দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন অধিনায়ক। ২০১১ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডের নেতৃত্বও এসেছে তার হাতে। টানা চার বছর এই দায়িত্ব পালন করার পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পরই তুলে রাখলেন রঙ্গি জার্সি।
কিন্তু আফসোস মিসবাহর জন্য, দীর্ঘ সময় অধিনায়ক থাকলেও দেশের মাঠে একটি ম্যাচেও দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি তিনি। এই আক্ষেপ তার চিরদিনই থাকবে। তবে, ৪১ বছর বয়সী মিসবাহ-উল-হক চাইছেন, ক্রিকেট থেকে প্রস্থানের আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে একবার হলেও নেতৃত্ব দিতে।
দীর্ঘ ছয় বছর ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন দেখে, খুশিতে ডগমগ পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ক। আক্ষেপ করছেন এই ভেবে যে, ‘আহা! বিশ্বকাপে যদি ওয়ানডেকে বিদায় না বলতাম তাহলে ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে পাকিস্তানের রঙিন জার্সি গায়ে জড়াতে পারতাম।’
সেই ইচ্ছার কথা অকপটে জানিয়েও দিয়েছেন মিসবাহ। তার ইচ্ছা, অন্তত টেস্টকে বিদায় বলার আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে একবার হলেও নেতৃত্ব দেওয়া । আর সেই দরজাটা খুলে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের বদৌলতে ভবিষ্যতে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো পাকিস্তানে আসতে আর ভয় পাবে না।
মিসবাহ বলেন, ‘অবসরে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে টেস্টে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়াটা হবে দারুন ব্যাপার।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আশা করি, শিগগিরই কয়েকটি দল পাকিস্তান সফর করবে এবং তারা এখানে টেস্ট সিরিজও খেলবে।’
দুটি টি২০ ম্যাচে কড়া নিরাপত্তাবলয় উপক্ষো করে যেভাবে দর্শকরা মাঠে হাজির হয়েছেন তা মুগ্ধ করেছে মিসবাহকে। তিনি বলেন, ‘মানুষ প্রমাণ করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট এখনও জীবন্ত রয়েছে। ব্যাপক নিরাপত্তা সত্বেও দর্শকরা যেভাবে ম্যাচ উপভোগ করেছে তাতে এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আরও জোরদার করা উচিৎ।’
পাকিস্তানের জনগণ যে আগের মতোই ক্রিকেটপাগল সেটা দেখেছে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। মিসবাহ ভাষায়, ‘পাকিস্তানের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে, তারা ক্রিকেট থেকে দুরে সরে যায়নি। আমরা এই কঠিন বার্তাটাই বাকি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন