বছরের সেরা ফুটবলার?!
বছরঘুরে আবারও চলে এলো কাংখিত সেই দিনটি। যেটি ঘিরে স্বপ্ন দেখেন পৃথিবীর তাবৎ ফুটবলার। তীর্থের কাকের মত অপেক্ষায় থাকেন পৃথিবীর সকল ফুটবলপ্রেমীও। কারণ, এ দিনই যে, জানা যায় বছরের সেরা ফুটবলারটির নাম! ফিফা বর্ষসেরা, ব্যালন ডি’অর বিজয়ী ফুটবলার।
সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর জুরিখে সোমবার ফিফা আয়োজিত জমকালো এক অনুষ্ঠানে ওই প্রশ্নের উত্তর মিলবে। বর্ষসেরার খেতাব ধরে রাখতে পারলে মেসির পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুই বছর ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতবেন রোনালদো। ২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে ব্যালন ডি’অর একীভূত হওয়ার পর প্রথম তিন বছর টানা এটা জেতেন মেসি।
২০০৮ সালে প্রথম ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা রোনালদো গত বছর জাতীয় দলের হয়ে জ্বলে না উঠলেও ক্লাবের হয়ে অসাধারণ খেলেন। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে দশমবারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাব টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতাতে দারুণ অবদান ছিল রোনালদোর। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপে গিয়েই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন তিনি, তার দেশ পর্তুগালও গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে। বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই অবশ্য ফের পুরনো রূপে ফেরেন এই ফরোয়ার্ড। ক্লাবকে উয়েফা সুপার কাপ জেতাতেও দারুণ অবদান রাখেন রোনালদো। তাছাড়া গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে কোপা দেল রে জেতেন তিনি।
২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারবারের বর্ষসেরা মেসি গত মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি। কিন্তু ব্রাজিল বিশ্বকাপে দেশ আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলে আনতে অসাধারণ খেলেন তিনি। জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে হেরে শেষটা ভালো না হলেও, ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ঠিকই জিতে নেন বার্সেলোনার এই তারকা। তাই পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরার খেতাবটা মেসির পাওয়ার ভালোই সম্ভাবনা আছে।
মেসি-রোনালদোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জার্মানির গোলরক্ষক নয়ারের এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জেতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। গত মৌসুমে ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে জার্মানির শীর্ষ লিগ বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নয়ারের। আর ব্রাজিল বিশ্বকাপে তো তার পারফরম্যান্স এককথায় চমৎকার। গোলপোস্টের নিচে দারুণ নৈপুণ্যে জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।
ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিত। ২০০৭ সাল থেকে পুরস্কারটি দেয়া হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে। ২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একীভূত হয়ে এর নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। বিজয়ীরা নির্বাচিত হন জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচ এবং ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের বাছাই করা ক্রীড়া সাংবাদিকের ভোটে।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন