ফিক্সিং থেকে রংপুর-ঢাকার মুক্তি
জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে রংপুর ও ঢাকা মেট্রোপলিস (ঢাকা মেট্টো)। তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় এ দল দুটিকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এনসিএলের গত মৌসুমের শেষ রাউন্ডে রংপুর বিভাগ-ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটি পাতানো ছিল বলে লিখিত অভিযোগ করেছিল খুলনা বিভাগ। তবে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে খুলনার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিসিবি। বুধবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আকরাম খান।
গত ১৯ মার্চ খুলনা বিভাগীয় দলের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিল। তাদের দাবি ছিল, রংপুর বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর মধ্যকার ম্যাচটি পাতানো ছিল। ঐ ম্যাচটা ১০২ রানে জিতে প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতেছিল রংপুর বিভাগ।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো দলকে চিঠি দেওয়া হয়নি। তারপরও এনসিএল থেকে এই দুই বিভাগকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, ‘এখানে কেউ দোষী প্রমাণিত হয়নি। তদন্তে কোনো দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৌখিকভাবে এটা আমাকে জানানো হয়েছে। হয়তো ২-৩ দিনের মধ্যে চিঠিও দেওয়া হবে।’
সর্বশেষ মৌসুমে খুলনা শিরোপার বড় দাবিদার ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ বিকেএসপির ২ নম্বর ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষ কয়েক মিনিটের মধ্যে ম্যাচটা জিতে নিয়েছিল রংপুর বিভাগ। ম্যাচটা রংপুর না জিতলে শিরোপা খুলনার ঘরেই যেত। অভিযোগের বিপরীতে খুলনার কর্মকর্তারা বিসিবির টুর্নামেন্টে কমিটি ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে ৩৫ মিনিটের অডিও রেকর্ড উপস্থাপন করেছিল। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও ঐ ম্যাচ নিয়ে অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেশ কজন ক্রিকেটার।
নিজেদের দাবির পক্ষে ৩৫ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিলেন খুলনার কর্তারা, যেখানে ছিল ঢাকা মেট্রোর কোচ হান্নান সরকারের সঙ্গে কয়েকজন কর্মকতার কথোপকখন। তবে আকরাম খান জানালেন, ওই ক্লিপের সঙ্গে মাঠের ক্রিকেটের সঙ্গতি ছিল না। এ প্রসঙ্গে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেযারম্যান বলেন, ‘তদন্তে নিশ্চয়ই ওই ক্লিপটি গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করা হয়েছে, কিন্তু প্রমাণ মেলেনি। আমাকে বলা হয়েছে, ওই ক্লিপের সঙ্গে মাঠের ক্রিকেটের মিল ছিল না। আর ওই ম্যাচের ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট আমি তখন দেখেছিলাম। সেখানে সন্দেহজনক কিছু লেখা ছিল না।”
বিসিবির দুর্নীতিবিরোধি নীতিমালা অনুয়ায়ী এই অভিযোগের তদন্ত করেছেন বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকতা আবু মোহাম্মদ হুমায়ুন মোর্শেদ।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন