তিনগুণ টাকা দিবে ফিফা!
আগামী দুই বিশ্বকাপের প্রতিটিতে খেলোয়াড়দের ছাড়ার জন্য ক্লাবগুলোকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি ইউরো দেবে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া দেশগুলোর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের ক্লাবগুলোকে এই অর্থ দিয়ে থাকে ফিফা।
নতুন এই চুক্তির আওতায় থাকবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালের শীতকালীন কাতার বিশ্বকাপ। ক্লাব ও ফিফার মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে এই নিয়ম চালু হয়। বর্তমান চুক্তির থেকে এবারের অর্থের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বেশি। আগের দুই বিশ্বকাপে ক্লাবগুলোকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ইউরো দিয়েছিল ফিফা।
এদিকে, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ১৮ ডিসেম্বরে হবে বলে নিশ্চিত করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। বৃহস্পতিবার ফিফার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় নিয়ে সব অনিশ্চয়তার অবসান হলো।
ফিফার মুখপাত্র ওয়াল্টার দি গ্রেগরিও আরও জানান, শীতকালিন এই টুর্নামেন্ট সম্ভবত ২৮ দিনের মধ্যে শেষ হবে, যেখানে বিশ্বকাপের অন্যান্য আসর সাধারণত ৩১ বা ৩২ দিনের হয়ে থাকে। তবে দিন কমিয়ে আনার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়।
উত্তর গোলার্ধে শীতকালে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে ইউরোপীয় লিগগুলোর সমস্যা হয় বলে সাধারণত গ্রীষ্মেই বিশ্বকাপ হয়ে থাকে। তবে গ্রীষ্মে কাতারের তাপমাত্রা অত্যধিক থাকায় ফিফা টাস্ক ফোর্স গ্রীষ্মের পরিবর্তে শীতে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সুপারিশ করে। শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফার নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স গত মাসে তাদের সুপারিশে ২৩ ডিসেম্বর ফাইনাল আয়োজনের প্রস্তাব করে। তবে ফিফা সভাপতি জেপ ব্লাটার ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কাতার বিশ্বকাপ শেষ করার কথা জানিয়েছিলেন। সবশেষ এই ঘোষণায় সেটাই চূড়ান্ত করল ফিফা।
২০১০ সালে ফিফার নির্বাহী কমিটির ভোটে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দেশটির অত্যধিক তাপমাত্রা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বছরের কোন সময় টুর্নামেন্টটি হওয়া উচিত- তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা, উঠে আসে নানা বিকল্প। পরে ২০১৩ সালের অক্টোবরে ওই টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা।
এর আগে কাতার বিশ্বকাপ গ্রীষ্মে হলে খেলোয়াড়েরা টুর্নামেন্টটি বর্জন করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ফুটবলারদের বৈশ্বিক সংগঠন ফিফপ্রোর প্রধান। তাই নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ হলে সংস্থাটির নিশ্চয় কোনো আপত্তি থাকবে না। অন্যদিকে, ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর চাওয়া ঠিক তার উল্টো, তারা মে মাসে বিশ্বকাপ চায়। কারণ শীতকালীন টুর্নামেন্ট তাদের ঘরোয়া লিগগুলোয় বিঘ্ন ঘটায়।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন