জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া শুরু
পাঁচদিনব্যাপী ৪৩তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৪-এর উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রাজধানীর সরকারি শারীরিক কলেজ চত্বরে মঙ্গলবার সকালে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাঁচদিনব্যাপী ৪৩তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
এবারের গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে দেশের ৪৫টি স্কুল-মাদরাসার ৪শ ২৪ ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে ২শ ৬৪ জন ছাত্র ও ১শ ৬০ জন ছাত্রী। এ খেলায় প্রথমে উপজেলা, পরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হয়েছে।
প্রতিযোগিতার তিনটি ইভেন্ট ফুটবল, হ্যান্ডবল ও কাবাডিতে ছাত্রছাত্রী উভয়ই অংশগ্রহণ করে এবং একটি ইভেন্ট সাঁতারে ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। এ সব ইভেন্টে শ্রেষ্ঠরাই জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করবেন।
চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ সেরা তিনটি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৩০ হাজার, ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হবে। এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার ও ৮ হাজার টাকা মূল্যের ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করা হবে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে যাতায়াত ভাড়া, খাবার খরচ ও জার্সি প্রদান করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুস্থ-সবল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। শুধু লেখাপড়া নয় খেলাধুলাও করতে হবে। দেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ না থাকলে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে খেলার মাঠ ব্যবহার করতে হবে।
সুস্থ দেহে সুস্থ মন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পরিবারে ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে খেলাধুলা করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। খেলাধুলার জন্য সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য দক্ষ সুনাগরিক গড়তে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, অতিরিক্ত সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, স্বপন কুমার সরকার, মাউশি’র পরিচালক প্রফেসর দিদারুল আলম, প্রফেসর সজল কান্তি মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন