চলে গেলেন টাই‘র নায়ক!

আহামরি কিছু করেননি, তারপরও তিনি ছিলেন কিংবদন্তী ক্রিকেটারদের তালিকায়। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টাই ম্যাচের নায়ক তিনি। সে কারণেই লিন্ডসে ক্লাইন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট তথা গোটা বিশ্বেই ছিলেন সুপরিচিত এক মুখ। তবে সবাইকে কাঁদিয়ে সেই ক্লাইন চলে গেলেন পরপারে। শুক্রবার মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
ক্লাইনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, ‘গোটা ক্যারিয়ারেই ইতিহাসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়েছেন লিন্ডসে ক্লাইন। সে কারণেই তাঁকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ইতিহাসের একটা বিশেষ জায়গায় স্থান দিতেই হবে।’
২০১৫ সালে অনেক কিংবদন্তী ক্রিকেটার মারা গেছেন। আর তাই সাদারল্যান্ড এ বছরটাকে শোকের বছর হিসাবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, ‘এ বছরটা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের জন্য বড্ড শোকের। পুরো বছর জুড়েই আমরা হারিয়েছি আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের রত্নদের। রিচি বেনো, আর্থার মরিসের পর এবার আমরা হারালাম লিন্ডসে ক্লাইনকে।’
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ টাই হয়েছে। প্রথম টাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্লাইনের স্মৃতি। ১৯৬০ সালে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টাই হয়েছিল কোনো টেস্ট। সেই ম্যাচের শেষ বলটি খেলেছিলেন ক্লাইন।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২৩৩ রান। শেষ দিনে অবতীর্ণ হয় সেই ঐতিহাসিক টাই। শেষ উইকেটে জয়ের জন্য দরকার মাত্র এক রান। ব্যাটে কোনো মতে বল লাগিয়েই ছুটলেন লিন্ডসে ক্লাইন। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে দৌড় দিলেন ইয়ান মেককিফও। কিন্তু হলো না, জো সলোমনের সরাসরি থ্রো ভেঙে ফেলল স্টাম্প। রান আউট। স্কোরও সমান। ফলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দেখা মিলল প্রথমবারের মতো টাই।
১৯৫৭ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মাত্র ১৩ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ক্লাইন। ৮৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৭.৩৯ গড়ে ২৭৬টি উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ হাতির স্পিন জাদুতে।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন