গ্যালারি মাতাচ্ছেন দর্শকরা
টেস্টে সিরিজ শেষে প্রত্যাশা করা হয়েছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম দর্শক খরা কাটবে। ঠিক তাই হয়েছে। প্রথম ইনিংস শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুরো গ্যালারি চট্টলাবাসীর দখলে চলে গেছে। আনন্দ উল্লাস করে সাকিব-মুশফিকদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তারা। খেলা শুরুর আগেই টিকিট হাতে দর্শকদের সারি ছিল স্টেডিয়ামে প্রবেশের গেটে। সাকিব-তামিমদের দেখতে তাদের এই কষ্ট কোনো কষ্টই থাকেনি শেষ অবধি।
কাছের দর্শকরা অবশ্য বাড়িতে টস দেখে স্টেডিয়াম মুখী হয়েছেন। এমন একজন রাকিব হায়দার। তিনি বলেছেন, ‘আমার বাসা অলঙ্কার মোড়ে। টসে দেখলাম বাংলাদেশ ব্যাটিং পেয়েছে তাই তাড়াতাড়ি আসলাম।’
স্টেডিয়ামের গেইটে অনেক দর্শককে মন খারাপ করে থাকতে দেখা গেছে। সোনার হরিণ টিকিট না পেয়ে বেজায় মন খারাপ তাদের। অনেক আবার কালোবাজীদের খোঁজ করেও পাচ্ছেন না। তামিম-সাকিবদের মারমুখী ব্যাটিং না দেখার হতাশা নিয়ে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরেছেন তারা। টিকিট পাননি এমন অনেকের মধ্যে চট্টগ্রাম কলিজিয়েট স্কুলের সুমন ইউসিবি ব্যাংকের ইউক্যাশ সিস্টেমটাকেই দুষলেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্যাশ করার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ছিল। তারপরও আমি চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু শেষ অবধি ওদের সার্ভারে সমস্যা থাকায় টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়নি আমার।’ তিনি আরও বলেছেন,‘বিসিবির উচিৎ আগের মাধ্যমে টিকিট বিক্রয় করা। এতে করে সবাই সহজেই টিকিট কিনতে পারবে।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সবাই বিনোদনের এই উপলক্ষ্যটাকেই বেছে নিয়েছেন। সবার প্রত্যাশা বাংলাদেশ তাদের লাকি ভেন্যুতে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ঢাকায় ফিরবে স্বাগতিকরা।
হালিশহরের বাসিন্দা শরিফুল হক। তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছেন। তার বড় মেয়ে নীলা সাকিবের ভক্ত। তার গালে সাকিবের নামও অঙ্কন করেছেন নীলা। নীলা বলেছেন, ‘সাকিব আমার খুব পছন্দের ক্রিকেটার। আগে আশরাফুলকে ভাল লাগত। আমি মনে করি এই ম্যাচে সাকিব দারুণ কিছু করবে।’ নীলার বাবা শরিফুল হক দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘আজ স্কুল ছুটি, আমার অফিস বন্ধ। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করে খেলা দেখতে এসেছি। আমার দুই মেয়ে ক্রিকেট খেলা দারুণ পছন্দ করে।’
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন