দ্য ইয়েলোদের ফাইভ স্টার
দাপটের সাথেই পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। প্রতিবেশি দেশ নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়ে উৎসবে মাতলো ক্লার্কের দ্য ইয়েলোরা। এর আগে ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ছিল দুই আয়োজক দেশের জয়জয়কার। শুরুতেই ফাইনালে জয়ের নায়ক ফল্কনার। অসিদের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলতে অন্যতম সেরা অবদানের পুরস্কার পেয়েছেন এই অসি বোলার। তার সতীর্থ মিশেল স্টার্ক ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নেন। যদি এবারের বিশ্বকাপ ছিল ব্যাটসম্যানদের। একের পর এক সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির ভিড়ে সেরা হয়ে উঠলেন বোলার স্টার্ক। স্টার্কের মতোই টুর্নামেন্টে ২২ উইকেট পান রানার্সআপ দলের বোল্ট। আর সর্বোচ্চ রান পরাজিত দলেরই মার্টিন গুপটিল। ৫৪৭ রান করেন তিনি। আর দ্বিতীয় স্থানে ৫৪১ রান করা কুমার সাঙ্গাকারা।
রবিবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। একে একে ফিরে যান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, মার্টিন গুপটিল ও ক্যান উইলিয়ামসন। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাককালামকে বোল্ড করে দলকে উড়ন্ত সূচণা এনে দেন অস্ট্রেলীয় পেসার মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের ইনসুইং বলে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ম্যাককালাম।
কিউইদের বিপর্যয়ের শুরু সেখান থেকেই। এরপর ইলিয়ট-টেইলর জুটি মান সম্মান বাঁচালেও স্টার্ক-ফল্কনার-জনসনদের তোপের মুখে দলের বিপর্যয় ঠেকাতে পারেনি অন্যরা। জনসন আর ফল্কনার তিনটি করে এবং স্টার্ক দুটি উইকেট নিয়ে ১৮৩ রানে থামিয়ে দেন কিউইদের।
জবাবে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিঞ্চ আর ওয়ার্নারকে হারিয়েই দাপটের সাথে পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলে স্বাগতিকরা। ফিঞ্চকে খালি হাতেই ফিরিয়ে দেন বোল্ট। তার সঙ্গী ওয়ার্নার ৪৫ রানেই ইনিংস খেলে আউট হন হেনরির বলে ইলিয়টের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শেষদিকে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক যখন আউটন হন তখন শিরোপা থেকে মাত্র মিনিট দূরত্বে অসিরা। ৭২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন অসি ক্যাপ্টেন। আর হাফ সেঞ্চুরিয়ান স্টিভেন স্মিথ ওয়াটসনকে সাথে নিয়ে ৭ উইকেটে নিশ্চিত করেন পঞ্চম শিরোপা।
শুরুতেই ম্যাককালামকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্যান উইলিয়ামসনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন গুপটিল। বেশ দেখেশুনে ও ধীর গতিতে এগুচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই গুপটিলকে বোল্ড করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৪ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান গুপটিল। পরের ওভারে মিচেল জনসনের বলে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়ামসন(১২)।
বিপর্যয় এড়াতে লড়তে থাকেন টেইলর-ইলিয়ট জুটি। ভালোই লড়ছিলেন তারা। দলীয় ১৫০ রানে আবার ধ্বস নামে। তিন উইকেট থেকে ৫ উইকেটের পতন। ফল্কনারের একই ওভারে টেইলরের পর কোরে এন্ডারসন ফিরে যায়। ৭২ বলে ৪০ রান করা টেইলরকে দারুণভাবে লুফে নেন অসি কীপার হাডিন। আর দুই বল খেলা কোরে এন্ডারসনের স্টাম্প সরাসরি ভেঙে দেন ফল্কনার। একইভাবে খালি হাতে ফিরে যান রঞ্চি। স্টার্ককে খেলতে গিয়ে ক্লার্কের হাতে ধরা পড়েন তিনি। স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১৫১। ৯ রান করে ভেট্টোরির ফিরে যাওয়ার পর যখন ফল্কনারের বলে হাডিন লুফে নেন ইলিয়টকে। তখনি শেষ হয়ে যায় কিউইদের শেষ ভরসাটুকু। ইলিয়ট দলের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৮২ বলে ৮৩ রান করেন সাত বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন