এফএ কাপ আর্সেনালের
১৯৫৭ সালের পর দলটি এসেছিল আরেকটি এফএ কাপ শিরোপা জয়ের জন্য। কিন্তু হায়! ওয়েম্বলিতে এতবড় এবং এত বাজেভাবে তাদের হারতে হবে তা কে জানত! অ্যস্টন ভিলার কোচ টিম শেরউড নিজেও অবাক। ৪-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেল অ্যাস্টন ভিলা। অপরদিকে ওয়েম্বলি জয় করে ১২তম এফএ কাপ শিরোাপা জিতে নিল আর্সেনাল।
১৯৫৭ সালের পর শিরেপার লক্ষ্যে খেলতে এলেও এর মধ্যে অনেকবারই এফএ কাপের ফাইনাল খেলেছে অ্যস্টন ভিলা। তবে গত ২১ বছরের মধ্যে এত বড় হারের লজ্জা তারা আর পায়নি। আর্সেনালের হয়ে একটি করে গোল করেছেন থিও ওয়ালকট, আলেক্সিজ সানচেজ, পার মার্টেসেকার এবং অলিভার জিরুড।
টানা দ্বিতীয়বারেরমত এফএ কাপ শিরোপা জিতল আর্সেনাল। গতবার হাল সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ৯ বছরের খরা কাটায় আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। এবার নিয়ে টুর্নামন্টটির ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম দল হয়ে গেল আর্সেনাল।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না আর্সেনাল। খেলার ৪০তম মিনিটে তাদের এগিয়ে নেওয়ার কৃতিত্ব ওয়ালকটের। বিরতির পর ৫০তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে ব্যবধান ২-০ করেন চিলির তারকা সানচেজ।
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি আর্সেনালকে। ৬২তম মিনিটে জার্মানি ডিফেন্ডার মার্টেসেকারের হেড জাল খুঁজে পেলে ব্যবধান আরো বাড়ে।
প্রতিপক্ষের জালে তিনবার বল পাঠালেও আক্রমণের ধার কমায়নি আর্সেনাল। অ্যাস্টন ভিলাকে চাপে রেখেই চতুর্থ গোলটি পেয়ে যায় তারা। খেলার যোগ করা সময়ে দলের চতুর্থ গোলটি করেন আর্সেনালের ফরাসি স্ট্রাইকার জিরুড।
আর্সেনালের এই শিরোপার সুবাদে অ্যাস্টন ভিলার সাবেক কোচ জর্জ রামসের পাশে বসলেন ভেঙ্গার। দুই জনেরই দলকে সর্বোচ্চ ছয়টি করে এফএ কাপ শিরোপা এনে দেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন