উৎসবে মত্ত ক্লার্ক-স্মিথরা
পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসছে অস্ট্রেলিয়া। একাদশ আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতেছে রবিবার। আর সোমাবারেও বিশ্ব জয়ের আনন্দে উৎসব করেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা রবিবার সারারাতই মেলবোর্নে তাদের টিম হোটেলের ছাদে উৎসব করে কাটিয়েছেন। মাইকেল ক্লার্ক-স্টিভেন স্মিথদের সেই উৎসবের ছবিও টুইটারে পোস্ট করেছেন কোচ ড্যারেন ল্যাহম্যান। বিশ্বজয়ের উৎসবে তিনি নিজেও ছিলেন। উৎসব করেছেন দলের কোচিং স্টাফরাও।
এর আগে রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড দর্শকশূন্য হয়ে পড়ার পর অনেকটা সময় ধরে চলেছে অস্ট্রেলিয়ানদের বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব। মাঠ-ড্রেসিংরুম সবখানেই লেগে ছিল উৎসবের রং। তবে তা ছিল দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টের উৎসব। তবে সোমবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ক্লার্করা। দিনটিতে অস্ট্রেলিয়ার স্কুলগুলোতে ছিল সাধারাণ ছুটি। তাই তো বিশ্ব জয়ের আনন্দে সামিল হতে বাবা-মা’রা সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মেলবোর্ন শহরের ফেডারেশন স্কোয়ারে। সেখানে উপস্থিত ভক্তদের সামনে হাজির হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ান দলের ক্রিকেটাররা। ভক্তদের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আরেকবার উল্লাসে মেতেছেন ক্রিকেটাররা।
তবে অস্ট্রেলিয়ার এমন উৎসবের মধ্যে খানিকটা ‘হর্ষে বিষাদ’ হয়ে এসেছে উৎসবে মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহলের উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা। বিশ্বের যে কোনো বড় ক্রীড়া আসরেই দেখা যায় বিজয়ী দল বা ব্যক্তি অ্যালোকহলের বোতল হাতে উল্লাস করছেন, তা পান করছেন, আবার কখনো অ্যালকোহলে নিজের শরীরকেও ভিজিয়ে নিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ানদের বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তবে সমালোচকরা বলছেন, এটা বন্ধ হওয়া উচিত। কেননা, ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের জন্য এটা মোটেও ভাল শিক্ষা নয়। প্রিয় তারকাদের দেখাদেখি তাদের মধ্যেও এক অ্যালকোহল প্রীতি জন্মাতে পারে। আর কে না জানে, অ্যালকোহল বা মদে আসক্তির পরিণতটা কতটা খারাপ হতে পারে।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন