অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়েই জয়যাত্রা থামলো মিলন-সরোয়ারদের। পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে প্রথমবারের মতো জুনিয়র এএইচএফ কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। রোববার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওমানকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথম ম্যাচে চাইনিজ তাইপেকে ৭-০ ব্যবধানে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছিল স্বাগতিকরা। তারপর থাইল্যান্ড, ওমান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে বড় জয় উদযাপন করে আগেই চ্যাম্পিয়নশিপের ঈঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল তারা। আগের চার ম্যাচে ৩১ গোল করার পাশাপাশি একটি গোলও হজম করেনি লালসবুজরা।
ফাইনালেও সেই ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর দেখালেন গোলরক্ষক অসীম গোপ। চার-পাঁচবার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ওমানকে শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য রাখলেন তিনি। আর সরোয়ার-খোরশেদরা চারবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল পায় বাংলাদেশ। এ সময় মিলনের পুশ সরোয়ারের স্টপ থেকে গোল করেন খোরশেদ (১-০)। ২৫তম মিনিটে আবারও পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল পায় স্বাগতিকরা। এসময় গোল করেন আশরাফুল (২-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে, ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে তৃতীয় গোল পায় বাংলাদেশ। এসময় মিলনের কর্নার ও সরোয়ারের পুশ থেকে হিটে ব্যাক্তিগত দ্বিতীয় গোল করেন খোরশেদ (৩-০)।
৫০তম মিনিটে আরও একবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠায় বাংলাদেশ। এসময় কৌশিকের সহায়তায় গোল করেন সরোয়ার (৪-০)।
ওমানের খেলোয়াড়রাও বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের গোলরক্ষক অসীম গোপ ও রক্ষণের দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয় সেসব চেষ্টা। ফলে ৪-০ ব্যবধানের জয়ে নিয়েই মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।
এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপের এই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চাইনিজ তাইপেকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১০-০ গোলের জয় পায় স্বাগতিকরা।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওমানকে ৭-০ গোলে হারিয়ে ২০১৫ সালের জুনিয়র এশিয়া কাপের টিকেট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আর চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭-০ গোলে জেতে মামুনুর রশীদের দল।
রোববারের অপর ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছে চাইনিজ তাইপে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ওমান দুই শীর্ষ দল হিসেবে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য যুব এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। যুব এশিয়া কাপের শীর্ষ চার দল যুব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন