অধিনায়ক স্মিথের স্মরনীয় অভিষেক

ক্লার্ক পরবর্তী যুগের সূচনাটা ভালোই করলো অস্ট্রেলিয়া। নতুন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের অভিষেকটাও হয়ে থাকল স্মরনীয়। সাউদাম্পটনে রোজ বোলে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের পর অবশ্য ইংল্যান্ড নয়, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই প্রথম ওয়ানডে খেলেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। সে হিসেবে বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটা দ্বিতীয় ওয়ানডে এবং প্রথম পূর্ণাঙ্গ ওয়ানডে সিরিজও এটা। বলা যায়, এটাই নতুন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পথ চলা এবং এই প্রথমেও ‘প্রথম’ হয়ে শুরু কররো অসিরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের সামনে ৩০৫ রানের বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রান তুলতেই অলআউ হয়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এই হারের পর বোঝাই যাচ্ছে, টেস্টের চেয়ে এখনও বেশ নড়বড়ে দল ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ৩০৫ রান খুব বড় মনে হচ্ছিল না ইংল্যান্ডের সামনে। কারণ, কিছুদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড, তাতে এটা মামুলি স্কোরই তাদের সামনে। কিন্তু অসি বোলারদের সামনে খুব বেশি দুর যেতে পারেনি ইয়ন মরগ্যানের দল।
জ্যাসন রয় আর আলেক্স হেলস ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ভালোই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর মিচেল মার্শের হাতে উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। ৬৭ রান করেন জ্যাসন রয়। ২২ রান করেন হেলস। ওয়ান ডাউনে জেমস টেলর করেন ৪৯ রান। এছাড়া ইয়ন মরগ্যান করেন ৩৮ রান।
এই চারজনের ব্যাট ছাড়া কথা বলেনি বাকি ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। একের পর এক উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত অলআউট ২৪৬ রানের মাথায়। ২টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, নাথান কাউল্টার নেইল, প্যাট কামিন্স এবং শেন ওয়াটসন। ১ উইকেট করে নেন মিচেল মার্শ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৫৯ এবং সপ্তম উইকেট জুটিতে (১১৩ রান) ম্যাথ্যু ওয়েড অপরাজিত ৭১ এবং মিচেল মার্শ করেন অপরাজিত ৪০ রান। এছাড়া জো বার্নস ও স্টিভেন স্মিথ দু’জনই করেন ৪৪ রান করে।
এই মুহূর্তে এখানে কোনো মন্তব্য নেই, আপনি কি একটি মন্তব্য দেবেন?
মন্তব্য লিখুন